নতুন সিইও'দের যে ৩ শিক্ষা কেউ দেবে না

নতুন সিইও'দের যে ৩ শিক্ষা কেউ দেবে না
ছবি : ক্যারেন মাইয়ো


নতুন সিইও হিসাবে দায়িত্ব নেওয়া এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা। যারা নিয়েছিলেন, তারাই জানেন। উদ্যোক্তরা সিইও নির্বাচন করেন ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে। 

ক্যারেন মাইয়ো নেস্টিয়ো নামের একটি কম্পানি প্রতিষ্ঠা করলেন মাত্র বিশের কোঠায়। সিইও হওয়ামাত্র কম্পানির প্রতি মারাত্মক দায়িত্ববোধ অনুভব করলেন তিনি। কিন্তু তখন তার বয়স বিশের কোঠায়। এই বয়সে একটা প্রতিষ্ঠান চালানোর চাপ, দায়িত্বশীলতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ইত্যাদি চাপ কি সামলাতে পারবেন তিনি? কিন্তু ধীরে ধীরে ঠিকই সামলে নিয়েছেন। আর শিখেছেন নতুন সিইও'দের কি শিক্ষা অর্জন করতে হয়। অথবা প্রতিষ্ঠান নতুন সিইও'দের কি শিক্ষা আগে থেকেই প্রদান করতে পারে। জেনে নিন, এই কঠিন সময়ের ৩টি মৌলিক শিক্ষা যা কেউ আপনাকে দেবে না।

১. দায়িত্বকে ভালোবাসতে হবে। তবে ভয় একে একে এড়িয়ে গেলে হবে না। ব্যবসার সেলস, অপারেশনস এবং ফিনান্সের যাবতীয় কাজ দেখতে থাকলেন। তার সহযোগী ছিলেন মাত্র দুই জন। এই তিনজন মিলিয়ে কম্পানি চালানোর দায় ভাগ করে নিলেন। সিইও হিসাবে নিজের দায়িত্বের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণটি হলো, কম্পানির অর্থ ব্যাংকে রাখা এবং সঠিক প্রার্থী বেছে নেওয়া। এ দুটো কাজেই সফল হয়েছিলেন তিনি। আর তাতেই এগিয়ে যেতে পারেন সহজে।

২. সঠিক কর্মী বেছে নিতে হবে কম্পানির জন্যে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। তবে সেখানে কোনো আপস চলবে না। ক্যারেন জানান, সিইও হিসাবে প্রথম দিকে নতুন মানুষ নিয়োগের সময় এ বিষয়টি মাথায় রাখতেন তিনি। বহু আগ্রহী ও পরিশ্রমী প্রার্থী পেয়েছেন তিনি। তবে বোঝা যেন, সঠিক মানুষটি বেছে নেওয়া কতটা কঠিন কাজ হতে পারে। আপাতদৃষ্টিতে যোগ্য মনে হলেও সব প্রার্থীর মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য থাকে। আর এ কারণেই তাদের বাছাই করা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রার্থী বাছাই মানেই লক্ষ্য বাছাই করা। এরাই কম্পানির রেভিনিউ এনে দিবে। পণ্য বিক্রির টার্গেট জয় করবে এরাই। আবার এর অর্থ এই নয় যে, সারাদিন সিটে বসে থাকলেই কর্মীরা কাজ করছেন। সেই কর্মী বেছে নিতে হবে যারা উৎপাদনশীল। আবার অনেক যোগ্য প্রার্থী আছেন যারা বর্তমান সমস্যা মেটানোর যোগ্য কিনা তা বুঝতে হবে। সবাই সবকিছুতে দক্ষ নন। অর্থাৎ সঠিক কাজে সঠিক মানুষটিকে দায়িত্ব দেওয়া সিইও'র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

৩. নেতৃত্ব প্রদান যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সেখানে একাকী আপনি। ক্যারেন জানান, যদি আমার চারপাশে দক্ষ ও যোগ্যতর মানুষের আনাগোনা ছিল, তবুও নেতৃত্বের স্থানে মানুষ একা হয়ে যায়। তবে কাছের বন্ধু, অভিজ্ঞ শুভাকাঙ্ক্ষী এবং পরামর্শদাতাদের সহায়তায় অনেক দ্রুত এগিয়ে যেতে পারবেন। তারা আপনার ভুলগুলো শুধরে দিতে পারবেন। নতুন সিইও'দের ৭০ শতাংশ মনে করেন, তারা চাকরি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এ তথ্য দেওয়া হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউয়ে। কাজেই এ সময়টা নতুন সিইও'দের মানসিক সাপোর্টের প্রয়োজন হয়। এ সময়টা অন্যান্য পরিচিত কম্পানি প্রতিষ্ঠাতা বা অন্য সিইও'দের সঙ্গে আলাপ করতে পারেন। তারা নানাভাবে আপনাকে পরামর্শ দিতে পারবেন। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার
Share on Google Plus

About news zone

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment