আদিবা |
মঙ্গলবার সকাল। হালকা শীত গায়ে মখেে ছুটলাম। সঙ্গে আবৃত্তি শল্পিী ইয়াসনি হায়দার। গুলস্তিান থকেে যাত্রাবাড়। নতুন ফ্লাই ওভার হয়ছে যাত্রাবাড়ি থকেে একটু সামনে গলেইে কাজলা। দশ মনিটিইে পৗেঁছে গলোম। অথচ একটা সময় সায়দোবাদ যাত্রাবাড়ি পাড় হওয়া ছলি যুদ্ধরে মতো।
রাস্তা পাড় হলাম। দক্ষণি পাশ ঘঁেষইে মাদরাসার বল্ডিং। মারকাজুত তাহফজি ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসা। এখানইে হফিজ পড়ছে আদবিা তাসনমি। প্রথম দখোতইে আকাশ ছােঁল চোখ। এত্তটুকুন বাচ্চা ময়ে।ে ঠকিমতো জামা পড়তওে শখেনে। হজিাবও পরতে চায় না। পাশ থকেে হুজুর জানালনে, মাঝে মাঝে আমার ঘাড়ওে উঠে যায়। অথচ ত্রশি পাড়ার পুরো কুরআন ওর মুখস্ত।
আদবিার বয়স সাড়ে ছয়। পুরো কুরআন হফিজ করতে ওর লগেছেে মাত্র ৭ মাস। যখোনে র্পূণ বয়সরে ছলেদেরে র্সবনš ২ বছর লগেে যায়। সাধারণত এরকম বষিয়কে আমরা বলি আল্লাহ প্রদত্ত। ইংরজেতিে গড গফিটডে। এই গড গফিটডে শশিুরা মায়রে কোলে থকেইে অসাধারণ প্রতভিা নয়িে বরে হয়। দুনয়িাতে এসে একে একে প্রকাশ পতেে থাকে তাদরে চমকপ্রদ ঘটনাবল। বড়পীর আবদুল কাদরি জলিানী রহ. এর ক্ষত্রেে যমেনটি শুনে থাক।ি মায়রে পটে থকেইে তনিি ১৮ পাড়া কুরআনরে হফিজ সম্পন্ন করে পৃথবিীতে এসছেলিনে।
আদবিার সঙ্গে কথোপকথনে বসলাম। ওর লজ্জারাঙা মুখ। তমেন কছিুই বলতে পারল না। গ্রামরে নাম মনে নইে। জলো বরশিাল। অবশ্য বরশিালে থাকে না ওরা। বাবা মা থাকে ঢাকার সানারপাড়। বাবা হাফজে নাসরিুদ্দনি একজন ব্যবসায়ী। মা হলেনো আক্তার গৃহনিী। বাবা হাফজে হওয়ায় ময়েকেে হাফজে বানানোর আগ্রহ ছলি আগে থকেইে। মাদানি নগরে এক মক্তবে র্ভতরি পর টরে পান তার প্রতভিার। ও যা শুনে মুর্হূতইে মুখস্ত করে ফলেতে পার।ে নয়িে এলনে মারকাজুত তাহফজি। শুরু হলো কুরআনুল কারমি হফিজ পড়া।
কথা গুছয়িে বলতে না পারলওে আদবিার ভতের ভয় নইে। বরং তার গায়ে একটা চপল ও চঞ্চলতা রয়ছে।ে যা তাকে অনায়াসে সাহসী করে তুলে অপরচিতি মানুষরে কাছওে। তাই বড় বড় প্রোগ্রামগুলোতে হলর্ভতি মানুষরে সামনে তলোওয়াত করতে বললওে ও কাঁপে না। ভয়ে শঙ্কতি হয় না কণ্ঠ। আমরা তলোওয়াত করতে বলায় ও নর্দ্বিধিায় শুরু করে দলি। থামতে বলার আগ র্পযন্ত চালয়িইে গলে।
আদবিা বলল, কুরআন পড়তে ভালো লাগ। ভবষ্যিতে আরো সুন্দর করে পড়তে চাই। আপাতত এটুকুই তার স্বপ্ন। তবে আর্ন্তজাতকি কুরআন প্রতযিোগতিাগুলোতে তার প্রথম স্থান অধকিার করার আকাক্সক্ষা প্রবল। একই মাদরাসার ছাত্রদরে বদিশেে প্রথম হওয়া দখেইে নাকি তার ভতের প্ররেণা জগেছে।
বস্মিয়কন্যা আদবিা তাসনমিরে এই অনন্য কৃতত্বিরে জন্য গত ২৫ অক্টোবর ইসলামকি ফাউন্ডশেন সংর্বধনা দয়ে। সখোনে ইফার র্কমর্কতাসহ উপস্থতি ছলিনে গুরুত্বর্পূণ ব্যক্তর্বিগ। তারা আদবিার তলোওয়াত শুনে অভভিূত হন।
আদবিার বষিয়ে মাদরাসার প্রন্সিপিাল হাফজে ক্বারী নছোর আহমাদ আন নাছরিী জানালনে, এটি আল্লœাহ পাকরে এক বশিষে দান। কারণ তনিি অঙ্গীকার করছেনে তার কুরআন তনিইি হফোজত করবনে। এজন্যই তনিি খুব সহজে বচ্চাদরে মাথায় কুরআন ঢুকয়িে দনে।
হাফজে রহমতুল্লাহসহ আরো কয়কেজন শক্ষিকিা আদবিার দখো শোনা করনে। তাদরে সবার স্বপ্ন, আদবিা ভবষ্যিতে অনকে সম্মান বয়ে আনবে দশেরে জন্য।
২০১০ সালে প্রতষ্ঠিতি হয় মারকাজুত তাহফজি ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসা। ঢাকার দনয়িায় হাফজে নছোর আহমাদ প্রথমত একটি বল্ডিং ভাড়া নয়িে মাদরাসা করছেলিনে। তখন পরসির স্বল্প হলওে এখন আয়তন অবস্থান সবকছিুই বড়েছে। আর্ন্তজাতকি অঙ্গনওে সুনাম কুড়য়িছেে মাদরাসাট। সৌদি আরব, ইরান, দুবাই, র্জডান, মশিরসহ বশ্বিরে আরো বশে কয়কেটি দশেে অনুষ্ঠতি আর্ন্তজাতকি হফিজ প্রতযিোগতিায় তার ছাত্ররা প্রথম স্থান র্অজন করছে।
এছাড়াও দশেে অনুষ্ঠতি সব ধরনরে কুরআন প্রতযিোগতিায় তার ছাত্ররাই র্শীষ।
0 comments:
Post a Comment